এইবার জুনাইদ, মামুনুল ও ফয়জুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
আদালত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আমলে নিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরী, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে ।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেয়ায় ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ এই অভিযোগে দু’টি মামলার আবেদন করা হয়েছে আদালতে। গতকাল দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত মামলা দু’টি আমলে নেন। আদালত মামলা দু’টি আমলে নিয়ে আগামী ৭ই জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দিয়েছেন।
একটি মামলায় জুনাইদ বাবুনগরী, মামুনুল হক এবং সৈয়দ ফয়জুল করীমকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলায় আসামি করা হয়েছে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। দু’টি মামলার মধ্যে একটির বাদী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক। অপর মামলার বাদী হয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ।
একটি মামলায় জুনাইদ বাবুনগরী, মামুনুল হক এবং সৈয়দ ফয়জুল করীমকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলায় আসামি করা হয়েছে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। দু’টি মামলার মধ্যে একটির বাদী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক। অপর মামলার বাদী হয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ।
মামলায় আমিনুল অভিযোগ করেছেন, ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসামিরা ধর্মের আজগুবি ব্যাখ্যা দিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ, কাল্পনিক, উত্তেজনাকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা বাঙালি মুসলমান সমাজের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান সম্পর্কে বিদ্বেষ সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন।
মশিউর মালেক তার মামলায় অভিযোগ করেছেন, মামুনুল হক ঢাকার বিএমএ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ‘ভেঙে ফেলার হুমকি দেন’, যা দেশ ও সরকারের স্থিতিশীলতাকে ‘হুমকির মুখে’ ফেলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ই নভেম্বর ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠে তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে ভাস্কর্য নির্মাণ ইসলামবিরোধী উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা ফয়জুল করীম।
মশিউর মালেক তার মামলায় অভিযোগ করেছেন, মামুনুল হক ঢাকার বিএমএ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ‘ভেঙে ফেলার হুমকি দেন’, যা দেশ ও সরকারের স্থিতিশীলতাকে ‘হুমকির মুখে’ ফেলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ই নভেম্বর ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠে তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে ভাস্কর্য নির্মাণ ইসলামবিরোধী উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা ফয়জুল করীম।
একইদিনে ‘যে ব্যক্তির ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয় ওই ব্যক্তিকে কবরে আজাব দেয়া হয় উল্লেখ করে রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক। বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। এই বক্তব্য নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া আসতে থাকলে গত ২৭শে নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক মাহফিলে অংশ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরী হুমকি দেন, যেকোনো দল ভাস্কর্য বসালে তা ‘টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেয়া’ হবে। তারপর থেকেই দেশের বিভিন্নস্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরুদ্ধে ইসলামভিত্তিক দলগুলো আন্দোলন করছে। এরমধ্যেই শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় মাদ্রাসার দুই ছাত্র ও দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মাওলানা মামুনুল হক ও ফয়জুল করীমের বয়ান শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ভাস্কর্যবিরোধীদের রুখে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।
এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা গত রোববার জুনাইদ বাবুনগরী ও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরেকটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৩ই নভেম্বর খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে তিনি আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটাবেন এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলবেন। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, কোনো ভাস্কর্য তৈরি হলে তা টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেয়া হবে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাদের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের রেশ ধরে তাদের অনুসারীরা গত ৪ঠা ডিসেম্বর রাতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান স্বীকৃত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছে।
এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা গত রোববার জুনাইদ বাবুনগরী ও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরেকটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৩ই নভেম্বর খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে তিনি আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটাবেন এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলবেন। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, কোনো ভাস্কর্য তৈরি হলে তা টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেয়া হবে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাদের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের রেশ ধরে তাদের অনুসারীরা গত ৪ঠা ডিসেম্বর রাতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান স্বীকৃত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছে।
ফারহা পুষ্পিতা