প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুর ১২টায় তেলবাহী ট্যাংকার লাইনচ্যুত হওয়ার পর থেকে জ্বালানি তেল মাটিতে পড়ে ভেসে যাচ্ছে। স্থানীয় শত শত মানুষ হাড়ি, পাতিল, বালতি, মগ ও জগ নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে এসে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে চলছে তেল নেওয়ার প্রতিযোগিতা।
ট্রেনের তেলবাহী ট্যাংকার উদ্ধারের কাজে নিয়োজিত শেখ মো. হাসান জানান, তেলবাহী ট্যাংকারে প্রচুর পরিমাণ ডিজেল মজুত ছিল। ট্যাংকার উল্টে যাওয়ায় তেল মাটিতে ভেসে যাচ্ছে। এ সুযোগে আশপাশের শত শত নারী–পুরুষ তেল সংগ্রহ করছেন। তাঁদের কারণে কাজ দ্রত শেষ করা যাচ্ছে না।
তেল সংগ্রহকারী কাছন মিয়া ও রাহেলা বেগম বলেন, ‘ট্রেন থেকে পড়ে জ্বালানি তেল নষ্ট হচ্ছে। আমরা এ তেল নিলে তো ক্ষতি নেই।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মুশফিক উদ্দিন বলেন, প্রতি ট্যাংকারে ১০ হাজার লিটার ডিজেল ছিল। সে হিসাবে চারটি ট্যাংকারে ৪০ হাজার লিটার ডিজেল ছিল। দুর্ঘটনার পর যে যেভাবে পারছে, এ তেল নিয়ে যাচ্ছে।
ফারহা পুষ্পিতা