রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে ।
পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৩ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে পার্বত্য জেলাসমূহের দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে। সূচিত হয় শান্তির পথচলা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার আধার বাংলাদেশের তিন পার্বত্যজেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। যুগ যুগ ধরে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনাচার, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এ অঞ্চলকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষে তৎকালিন চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লার সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। এর মধ্য দিয়ে শান্তিবাহিনীর দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের সংগ্রামের অবসান ঘটে। শান্তিচুক্তির ফলে প্রাথমিকভাবে শান্তি বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। সরকার তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে।
এস এ